1. admin@dailyoporadhonusondhanltd.net : admin :
  2. mdalamin0972@gmail.com : alamin :
শিরোনামঃ
আলোর পথে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পরিবেশ দিবস উপলক্ষে পুরস্কার বিতরণী ও অগ্নিনির্বাপণ মহড়া প্রদর্শনী কালাইয়ে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান: এক উজ্জ্বল আয়োজন তালতলীতে চাঁদাবাজ শহীদুল হক মেম্বারের বিচারের দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল আমতলী থানায় রেঞ্জ ডিআইজির দ্বি-বার্ষিক পরিদর্শন সম্পন্ন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে সেনা কর্মকর্তা পরিচয়ে বিয়ে-যৌতুক আদায়, যুবক আটক তালতলীতে জমি নিয়ে বিরোধ, হামলায় আহত -৩ যৌতুকের দাবীতে গর্ভবতী স্ত্রীকে হত্যার ২৩ বছর পর স্বামীর মৃত্যুদন্ড রায় উদয়পুর ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফ-এর চাল বিতরণে স্বচ্ছতা আনতে ডিজিটাল লটারি পদ্ধতি গ্রহণ বাঁশখালীতে ৬ হাজার ইয়াবা উদ্ধার ও একটি মোটর সাইকেল জব্দসহ আটক ১  সীতাকুণ্ডের জনদূভোর্গের বহুল প্রতীক্ষিত সড়কের ঢালাই কাজ শুরু।

“সাংবাদিক হয়রানি আরেকটু দরকার”- “সাইদুর রহমান রিমন”!

  • আপডেট সময়ঃ রবিবার, ২ এপ্রিল, ২০২৩
  • ১৪০ জন দেখেছেন

ডেক্স নিউজ:- আমি ক্ষুদে একজন সংবাদকর্মি হিসেবে খুবই মনে প্রাণে কামনা করছি, প্রথম আলো সম্পাদকের মতো আরো কয়েকজন সম্পাদক ও সিনিয়র পর্যায়ের বিশাল বপু সাংবাদিকরা ঘন ঘন কয়েকটি মামলা, গ্রেফতার, হয়রানির শিকার হন। সত্যি সত্যিই এমন কিছু ঘটলে আমরা ভুক্তভোগী আর হাজারো গ্রাম সাংবাদিক সবার আগে বিক্ষোভে ফেটে পড়বো, মিছিলে মিছিলে প্রকম্পিত করে তুলবো রাজপথ থেকে প্রত্যন্ত জনপদও। কথা দিচ্ছি, গণমাধ্যমের শীর্ষ পর্যায়ের যারা এমন অবাঞ্চিত মামলা, হয়রানি, নীপিড়নের শিকার হবেন তাদেরকে মুক্ত না করা পর্যন্ত হাজারো সাংবাদিক ঘরে ফিরবো না…তবুও তাদের উপর অন্যায় জুলুমবাজি চলুক তা কামনা করছি।

কয়েক লাইনের ইন্ট্রোটুকু পাঠ করেই আমাকে কেউ ভুল বুঝবেন না, গালাগালও দিবেন না। যেসব মামলা, হয়রানি, নীপিড়ন, নির্যাতনে সারাদেশের সাংবাদিকরা নিয়মিত কষ্ট, যন্ত্রণা ভোগ করে আসছেন, তা নিয়ে চিৎকার কান্নাকাটি করেও সুরাহা মিলছে না। গণমাধ্যমের শীর্ষ স্থানীয় দাপুটেরা একই যন্ত্রণায় বিদ্ধ হলে এ নির্যাতন নিবর্তনের সহসা যে একটা সুরাহা হবে তা আমি হলফ করে বলতে পারি।

রাজধানী বা কেন্দ্র পর্যায়ে সাংবাদিক, সম্পাদক, সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে সরকারের অভিমান থাকে সীমিত সময়ের জন্য। যে কারণে এর জের ধরে দু’ একটি হয়রানিমূলক ঘটনা ঘটলেও দ্রুতই সব মহল বসে, কথা বলে সমঝোতা করে ফেলে। কিন্তু মফস্বল পর্যায়ে তো কর্তৃত্ববাদীদের আগ্রাসী থাবার নির্মম শিকার হন সাংবাদিকরা, তার প্রেক্ষিতে সংঘটিত নির্যাতনের ধারাবাহিকতা যেন চলতেই থাকে। সেখানে এলজিইডি কিংবা সড়ক ও জনপথের দুর্নীতি, লুটপাট নিয়ে নিউজ হলে ঠিকাদাররাই তেড়ে এসে সাংবাদিকদের দুই চার ঘা বসিয়ে দেয়। কারো লেখা সংবাদে ডিসি মহোদয় লজ্জা পেয়েছেন শুনেই লাঠিসোটা নিয়ে হাজির হয়ে যায় এমপি সাহেবের ক্যাডাররা। উপজেলার ইউএনওকে যদি সাংবাদিকরা স্যার না বলে তাতে তারা এখন আর সরাসরি ক্ষিপ্ত হন না, বেফাঁস কিছু বলেনও না। কিন্তু অদৃশ্য বন্ধনে পরক্ষণেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে হাটবাজার, খেয়াঘাট কিংবা টোল পোস্টের ইজারাদাররা, তারাই স্যার না বলা সাংবাদিককে তাড়িয়ে বেড়াতে থাকে। মূলত আঞ্চলিক, জেলা বা উপজেলা পর্যায়ে সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেটের ‘কমন শত্রু’ সাংবাদিক, তাই নীপিড়ন নির্যাতন চলে ধারাবাহিক ভাবেই।

বছরের পর বছর ধরে জেলা উপজেলা পর্যায়ের ঘাম ঝরানো সাংবাদিকগণ যখন একের পর এক মামলা, হামলা, নীপিড়ন, নির্যাতনের শিকার হচ্ছিলেন তাদের কষ্টকান্না, বুকফাটা আহাজারি অগ্রজ সাংবাদিক আর মডেল সম্পাদকদের কানে কখনই পৌঁছাতো না। বিপন্ন বিপর্যস্ত অনেক সাংবাদিককে আমি চিনি, যারা সুদখোর মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে বিপদমুক্তির আশায় ঢাকায় হাজির হন। সব জুলুমের অবসান ঘটবে, একটা কিছু হবেই হবে এমন স্বপ্ন নিয়ে তারা ছুটে বেড়ান মিডিয়া হাউজ থেকে মিডিয়া হাউজে, নেতা, সংগঠন, ফোরাম, সমিতির দ্বারে দ্বারে। পাহাড়সম বিপদ মাথায় নিয়ে ছুটে আসা তৃণমূল সংবাদকর্মিদের দুঃখ শোনার, মিছেমিছি শান্তনা দেয়ার মতো অভিভাবকও তারা পাশে পান না।

মফস্বল এলাকায় সাংবাদিকতায় যুক্তরা যুগ যুগ ধরে যেসব সম্পাদক, সাংবাদিক, নেতাদের ‘পেশাদারিত্বের আইকন’ ভেবে হৃদয়ের উচু স্থানে ঠাঁই দিয়ে থাকেন, ঢাকায় পৌঁছে তাদের কাছে নিজের নাম পরিচয়টিও পুরোপুরি তুলে ধরার সুযোগ পান না। বিশাল আয়তনের গণমাধ্যম হিরোদের অনেকেই স্বভাব সুলভ হাসি প্রদর্শণ করে হয়তো বলেন, ‘অন্য একটা সময় দেখা করো, সব শুনে কিছু একটা করা যাবে।’

ঋণের টাকায় হোটেল রুমে ঘুমিয়ে, ব্রেড, কলা খেয়ে নিরীহ সংবাদকর্মিটি ৫,৬,৭ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করেও আইকনিক ভদ্রলোকটির নাগাল পর্যন্ত পাননি। জেলা, উপজেলার আড্ডা আলোচনায় যে সাংবাদিক, সম্পাদকের প্রশংসা বলে বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলেন তাদের কাছ থেকেও ন্যূনতম সহানুভূতি জোটে না, এমনকি এক কাপ চা পানের ভদ্রতাটুকও মেলে না। তখন ঢাকা তাদের কাছে বড়ই নির্মম, খুব বেশি অমানবিক হয়ে ওঠে। এমনই তুচ্ছ তাচ্ছিল্যতার অভাবনীয় আচরণে দুমরে মুচরে যাওয়া সাংবাদিক বন্ধুটি যথাশিগগির ঢাকা ছাড়তে বাধ্য হন, ফিরে যান ঝুঁকিপূর্ণ নিজ ভূমিতেই। সেখানে ফিরে তারা পূণরায় হামলা, মামলা, হুমকি, ধমকির শিকার হন, কেউবা দুর্বৃত্তদের কাছেই আত্মসমর্পণ করে কোনরকমে প্রাণ বাঁচান। জীবন মৃত্যুর এমন ভয়াল বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়া মানুষটির সামনে কিসের সৎ সাংবাদিকতা? কিসের সাহসীকতা? সবকিছুই যেন কর্পুরের মতো উবে যায়।

যে সাংবাদিকতাকে ‘স্বেচ্ছা বিবেকী দায়িত্ব’ হিসেবে নিয়ে সম্পাদকের নির্দেশে, আদর্শে আজ্ঞাবহ সাংবাদিক সর্বোচ্চ সততা, নিষ্ঠার সঙ্গে জীবনবাজি রেখে সংবাদের পেছনে ছোটেন! তার বিপদ বিপন্নতায় নিজ গণমাধ্যমের ভূমিকাও থাকে প্রশ্নবিদ্ধ? পেশাগত দায়িত্ব পালনের জের ধরে হামলা, মামলা, নির্যাতনের শিকার ক’জন সাংবাদিকের পাশে সম্পাদক সাহেবদের সরব অবস্থান দেখতে পাওয়া যায়? নিদেনপক্ষে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ছটফট করা সাংবাদিকের শয্যাপাশেও কি

শয্যাপাশেও কি কোনো সম্পাদকের চেহারা দেখেছেন কেউ? এ প্রশ্নটি আমি একাধিকবার সামনে এনেছি, এর বিপরীতে সাত শতাধিক সাংবাদিক বন্ধুই হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তাদের বেশিরভাগই জানিয়েছেন, সংবাদ সংক্রান্ত কারণে বিপদ হুমকিতে পড়লেও পত্রিকা সম্পাদকের পক্ষ থেকে মৌখিক সহানুভূতি পর্যন্ত মেলে না; অন্য কোনো সহায়তা পাওয়া তো অনেক দূরের বিষয়।

তবে এতজন সাংবাদিকের মধ্যে মাত্র দুই জন সাংবাদিক পেশাগত কারণে সৃষ্ট বিপদগ্রস্ততায় নিজ গণমাধ্যম, সম্পাদক ও সহকর্মিদের সবরকম সাহায্য সহযোগিতা প্রাপ্তির বিষয়টি গর্বের সঙ্গে প্রকাশ করেছেন। এ দু’জন সম্পাদক হচ্ছেন, আমাদের নতুন সময় সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, অন্যজন বাংলাদেশ প্রতিদিন এর সম্পাদক নঈম নিজাম। সাংবাদিক বান্ধব আরো কয়েকজন সম্মানীত সম্পাদকের কথা আমরা মাঝেমধ্যেই শুনি, জানি। তাদের অবদানের কথা বলতে গিয়ে সহানুভূতি পাওয়া সাংবাদিকদের চোখে মুখে সব পাওয়ার সুখময় দীপ্তি দেখতে পেয়েছি আমি। আসলেই তা অন্যরকম আনন্দ, ভিন্নরকম সুখকর অভিজ্ঞতা।

গণমাধ্যমগুলো এভাবে শুধু নিজ নিজ সংবাদকর্মিদের পাশে দাঁড়ালেও এদেশে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা অর্ধেকে নেমে আসতে বাধ্য। গণমাধ্যমের প্রাণ, সারাদেশে প্রকৃত সেতুবন্ধন গড়ে তোলা তৃণমূল পর্যায়ের এ সংবাদ কর্মিদের ব্যাপারে পত্রিকা, টিভি চ্যানেল, সম্পাদক, নেতাদের কী কোনই দায়িত্ব নেই? ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ২৯ মার্চ পর্যন্ত সময়ে ঢাকার বাইরে সংঘটিত সাংবাদিক নির্যাতনের ২৬৩টি ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে আরেক হতাশার চিত্র পাওয়া গেল। এতগুলো ঘটনার মধ্যে মাত্র ১৬টির ব্যাপারে মূলধারার সাংবাদিক সংগঠনসমূহ বাদ প্রতিবাদ জানিয়েছে। তাহলে কী দাঁড়ালো? বাকি ২৪৭টি ঘটনা আমলেই নেয়া হয়নি। সেসব ঘটনায় আক্রান্ত সাংবাদিক বন্ধুরা গণমাধ্যম অভিভাবকদের যেমন ছায়া পেলো না, তেমনি সাংবাদিকদের কল্যাণকামী নানা সংগঠন, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রাপ্য অধিকার থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত হলো। এভাবেই ঢাকার বাইরের হাজারো সাংবাদিক চরম অবজ্ঞা, অবহেলা আর মনগড়া কটু বিশেষণ মাথায় নিয়ে দিনমান ছুটে বেড়ায় মাঠেঘাটে, তুলে আনে কত কী অজানা সংবাদ, সমৃদ্ধ করে গণমাধ্যমকে। তারা মুখ বুজে সব সয়ে যায়, প্রাপ্য অধিকার চাইতেও সাহস পায় না, বিনা প্রতিবাদে মিথ্যা অপবাদও মেনে নেয়…আর সবকিছুর বিনিময়ে শুধু সম্পাদকসহ কেন্দ্রে দায়িত্বরতদের একটু করুণা (!) পেতে চায়।

সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজি, ধান্দাবাজি, দালালি, দলবাজির বেহাল পরিস্থিতির মধ্যেও সত্যনিষ্ঠ কিছু সংখ্যক সাংবাদিক বন্ধুর আপোষহীন পথচলা, সীমাহীন ত্যাগ তিতীক্ষার অনবদ্য নজির দেখা যায়। তাদের সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা, দেশপ্রেম সাংবাদিকতাকে রীতিমত গৌরবদীপ্ত করে তোলে। আপোষহীনতার কারণে প্রতিবছর তাদেরই তাজা রক্ত ঝরে। পেশার জন্য অকাতরে প্রাণ বিলিয়ে দেয়া, পঙ্গুত্ব বরণ, মারাত্মক আহত অবস্থায় দিনে পর দিন হাসপাতাল শয্যায় কাতরানো সাংবাদিকদের খবর কেইবা রাখে? বরং জেলা উপজেলায় সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেই গড়পরতায় ধান্দাবাজ, অপসাংবাদিক ইত্যাদি বিশেষণ চাপিয়ে মুখ ঘুরিয়ে নিতে দ্বিধা করে না কেন্দ্র। নির্যাতিত সিংহভাগ সংবাদকর্মির ব্যাপারে মূলধারা দাবিদার সাংবাদিক সংগঠনগুলো একটু প্রতিবাদ কিংবা বিবৃতি দিতেও কুন্ঠাবোধ করে থাকেন। কী যেন, এই প্রতিবাদ, বিবৃতির সুবাদে নির্যাতিত সংবাদকর্মি ‘সাংবাদিক’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে যায় কি না!

অথচ কেন্দ্রীয় পর্যায়ের কোনো সাংবাদিক হুমকির শিকার হলেও তার প্রতিবাদ জানিয়ে জেলা উপজেলার সংবাদকর্মিরা একের পর এক মিছিল, মানববন্ধন, বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে, আয়োজন করে বাদ প্রতিবাদের সভা সমাবেশ। এমনকি সাংবাদিক নেতাদের ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্ট তদারকি তল্লাশির খবরেও গ্রাম সাংবাদিকরাই সবার আগে প্রতিবাদে জ্বলে ওঠে। কিছু চাওয়া পাওয়া ছাড়াই কী অকৃত্তিম তাদের ভালবাসা, কী বিশাল তাদের আন্তরিকতা। এতকিছুর বিনিময়েও তারা বিন্দুমাত্র সহানুভূতি পায় না। গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রক হিসেবে চিহ্নিত সম্পাদক সংগঠন ও সাংবাদিক ইউনিয়ন যদি তিন মাস অন্তর অন্তর সারাদেশের সাংবাদিক হয়রানি ও নির্যাতনের তালিকা তৈরি করে শুধু প্রকাশ করতো তাতেও সাংবাদিক বিরোধী নীপিড়নের ঘটনা সিংহভাগ কমে যেত বলে মনে করি। তাদের পরিসংখ্যাণযুক্ত এহেন প্রতিবেদনে সরকারের উচ্চ মহল অন্তত সতর্ক হতো, কিছু না কিছু ভূমিকা রাখতো। এসব বুঝার জন্যই গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রক অভিভাবকদেরও একটু কষ্ট, যন্ত্রণা, হয়রানির ধকল উপলব্ধি করা বড়ই জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

আমার দেখা সাংবাদিক নেতার সেরা মন্তব্য

 

বিগত দুই দশকের মধ্যে সাংবাদিক ইউনিয়নের শীর্ষ পর্যায়ের কোনো নেতার সাহসী মন্তব্য পাঠ করার সুযোগ হলো আমার। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারন সম্পাদক আখতার খান কোনো রাখঢাক না করে সাংবাদিকদের বাস্তব পরিস্থিতি খোলোমেলা ভাবে তুলে ধরেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সত্যিই সেরাদের সেরা। আমি মনে করি আমাদের চলমান বাস্তবতা আমাদের সবার জানা উচিত, জানা উচিত অন্যান্য পেশায় থাকা মানুষজনসহ সরকারের সব মহলেরও। পেটে ক্ষুধা রেখে চোখের লজ্জা দেখানোর আভিজাত্য’র কোনো দরকার নেই। স্যালুট আখতার ভাই, স্যালুট প্রিয় নেতা। ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক লিখেছেন:

“কেউ বিপদে পড়লে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চান। সাংবাদিকরাও সাড়া দিয়ে তার পাশে দাঁড়ান। তার বহু নজির আছে। কিন্তু সাংবাদিকরা বিপদে পড়লে দুএকটি সাংবাদিক সংগঠন ছাড়া কেউ পাশে দাঁড়ান না। করোনাকাল থেকে এ পর্যন্ত কত সাংবাদিক যে চাকরি হারিয়েছেন, নিরবে কেঁদেছেন, ছাটাই বন্ধে উদ্যােগি হয়ে রাষ্ট্রকে কোন কিছু করতে দেখিনি। বর্তমান বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সবারই বেতন বেড়েছে, শুধু সাংবাদিকদের বাড়েনি। নবম ওয়েজবোর্ডের সময় শেষ হয়ে এসেছে। একটি হাউজেও তার বাস্তবায়ন নেই। আগের অস্টম ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদই সব হাউজে বাস্তবায়ন হয়নি, নবম তো দূরের কথা। অথচ সময় হয়ে গেছে দশম ওয়েজবোর্ড গঠনের। ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নে সড়কে অবস্থানসহ নানা কর্মসূচি দিয়েছিলো ইউনিয়ন। রাষ্ট্র দেখেনি, শুনেনি।

কিভাবে চলছে তাদের সংসার, বাসা ভাড়া, বাচ্চাদের স্কুল, মাস্টার খরচ। কেউ খোঁজও রাখে না।

সাংবাদিকেরা শুরু থেকেই বলে আসছে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের বিতর্কিত ধারাগুলো সংশোধনের। আজও পর্যন্ত হয়নি। তারা বলেছিলো, ডিএফপির জাতীয় পত্রিকার মিথ্যা প্রচার সংখ্যার তালিকা বন্ধ করতে। তাও করেনি। সাংবাদিকদের জীবন আছে, সমাজ আছে, পরিবার আছে। সরকারী-বেসরকারী অন্য সবার মতো তারাও দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি চেয়েছিলো, কেউ কর্নপাত করেনি। এখনো পর্যন্ত রাজধানীতে চাকরিচ্যুত অন্তত দুশ জন পেশাদার সাংবাদিক আছেন যারা ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত।  তাদের জন্য শুধু একা লড়াই করছে ইউনিয়ন। কেউ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে আসেনি, আসে না।”

#

শেয়ার করুন

আরো দেখুন......